
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আজ কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছিল। সেখানে দুই ঘণ্টার কিছু বেশি সময় চিকিৎসা দেওয়ার পর আবার কেবিনে নেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক কিছু জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাঁকে কেবিন থেকে জরুরি ভিত্তিতে সিসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। জটিলতা নিয়ন্ত্রণ করে তাঁকে আবার রাত সাড়ে ৭টার কিছু পরে কেবিনে নিয়ে আসা হয়।
গত ৯ আগস্ট থেকে চার মাসের বেশি সময় ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।
অস্ত্রোপচারের পরদিনই বিদেশি চিকিৎসকেরা ফেরত গেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা ঢাকায় খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচারের পর কমপক্ষে চার সপ্তাহ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী চার সপ্তাহ পার হওয়ার পরও কেবিনে রেখেই তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকেরা।
জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তাঁর পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। তাঁকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে বিএনপি বেশ কিছুদিন রাজপথে আন্দোলনও করেছে।
এমন অবস্থাতেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি নেত্রীর রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত ২৭ অক্টোবর।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এরপর ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।