নির্বাচন সুষ্ঠু দেখাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ

আগামী ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনকে সুষ্ঠু দেখালেই এটা সুষ্ঠু হয়ে যাবে না বলে মন্তব্য করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। পাশাপাশি এই সরকার জনগণের ভোটাধিকারকে পদদলিত করে বিদেশিদের সুষ্ঠু ভোট দেখাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ মঞ্চের।

সোমবার ‘একতরফা ভোট বয়কট করুন’ এই আহ্বানে পুরানা পল্টন মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে নেতারা এ মন্তব্য করেন । পরে একটি মিছিল বের করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মিছিল সহকারে তারা পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল ও বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগ করেন।

সমাবেশে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ এখন সুষ্ঠু নির্বাচন দেখাতে মরিয়া। সেজন্য নিজের দলের লোকজনকে প্রতিদ্বন্দ্বী বানিয়ে জাতীয় নির্বাচনকে আজ স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন বানিয়ে ফেলেছে তারা। যদিও প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আসনে কার্যকর কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ২০১৪ সালের মতো তারা ইতিমধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে।

তারা বলেন, আমরা একতরফা ভোট বাতিল করে দেশের স্বার্থে ও নাগরিকের স্বার্থে সুষ্ঠু ভোট চাচ্ছি। তামাশার নির্বাচনটা বাতিল হলে দেশ ভয়াবহ বিপদ থেকে বেঁচে যাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেদের গদি রক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয় সব ধরনের ক্ষমতা ব্যবহার করে একটা জোরজবরদস্তিমূলক ও পরিকল্পিত একতরফা নির্বাচন আয়োজন করছে। এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু দেখালেই এটা সুষ্ঠু হয়ে যাবে না। এই তামাশার নির্বাচন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিসরে ভয়ংকর হুমকির মধ্যে ফেলবে।

নেতারা আরো বলেন, এটা যে ভুয়া নির্বাচন মানুষ তা বোঝে, সেকারণে মানুষ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এবং গণজোয়ারের মধ্যে দিয়ে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। তাই আমরা অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে রাজনৈতিক সংকট সমাধান করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করার উদ্যোগ বলেছি।

তারা আরো বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের সর্বাত্মক অনাস্থা সত্ত্বেও এরা দমনপীড়ন করে, ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে বদ্ধপরিকর। গণআন্দোলন ও গণজোয়ারের মধ্য দিয়ে এদেরকে ক্ষমতা থেকে বিদায় দিতে হবে। সেকারণে বিজয় অর্জন না হওয়া অবধি মানুষ রাজপথ থেকে ঘরে ফিরবে না, লড়াই চলবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাখখারুল ইসলাম নবাব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ।

আরও পড়ুন...