
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) দীর্ঘ ৭৪ দিন পর খুললেও কোনো ক্লাস নিচ্ছেন না শিক্ষকরা। রোববার (৪ মে) কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করায় হচ্ছে না ক্লাস।
কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।
কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করায় কুয়েটে ক্লাস হচ্ছে না। শিক্ষকরা ক্লাসে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। আজ ভিসি শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
এদিকে দীর্ঘদিন ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় লেখাপড়ায় পিছিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সেশনজটেরও আশঙ্কা করছেন তারা।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, ভিসিসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছনাকারীদের সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরব না। আমরা আমাদের সিদ্ধান্তের কথা নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ভিসিকে জানিয়ে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসি, প্রোভিসি এবং ডিএসডাবলিউর পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস টানা আন্দোলন এবং ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমৃত্যু অনশন কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অপসারণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (১ মে) কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। শুক্রবার (২ মে) রাতে তিনি কুয়েটে পৌঁছান। শনিবার (৩ মে) অনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।