পৃথক সচিবালয়ের দাবিতে জামালপুরে দুই ঘন্টা কলম বিরতি

রাজন্য রুহানি,জামালপুর: বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় গঠনের দাবিতে সারাদেশের মতো জামালপুরেও কর্মবিরতি পালন করেছে আদালতের কর্মচারীরা।

বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন জামালপুর জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা জজকোর্ট প্রাঙ্গণে সোমবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কলম বিরতি পালিত হয়।

এই কলম বিরতিতে জেলা আইনজীবী সমিতি একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক রিশাদ রেজওয়ান বাবু। এছাড়াও বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন জেলা শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য শাহ নূর হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সভাপতি এ কে এম সরোয়ার জাহান সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক আফরাহিম হাসান শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান রবিন, প্রচার সম্পাদক সাজিদ আলম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুন নাহার দ্বীপা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হলেও শুধুমাত্র বিচারকদের জন্য পৃথক পে-স্কেল ও নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। অথচ একই দপ্তরে কর্মরত সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এখনো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাধারণ বেতন কাঠামো অনুসরণ করা হচ্ছে।

তারা অভিযোগ করেন, সহায়ক কর্মচারীরা বিচারকদের সঙ্গে একত্রে কাজ করলেও তাদের বিচার বিভাগীয় ভাতা, অবকাশকালীন ছুটি বা ফৌজদারি আদালতের দায়িত্ব পালনের অতিরিক্ত ভাতা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। অধিকাংশ কর্মচারী দীর্ঘ ২০-২২ বছর চাকরি করেও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে পদোন্নতির সুযোগ পান না।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ জেলা জজ আদালতে প্রশাসনিক কর্মকর্তার (দ্বিতীয় শ্রেণির) মাত্র ২টি পদ রয়েছে। ফলে পদোন্নতির সুযোগ একপ্রকার রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। অনেক কর্মচারী আক্ষেপ ও হতাশা নিয়ে দীর্ঘ ৩৮-৪০ বছর চাকরি করে অবসর নিচ্ছেন, কিন্তু পদোন্নতি পান না।

তাদের দাবি, অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় গঠন করে অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করে ৭ম থেকে ১২তম গ্রেড পর্যন্ত নতুন স্কেল চালু করা।

আরও পড়ুন...