শাস্তি ভোগ থেকে রেহাই পাবে না তারেক: প্রধানমন্ত্রী

গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পিবিএ,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাস্তি কার্যকর করার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, তাকে আজ হোক, কাল হোক শাস্তি ভোগ করতেই হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ব্রিটিশ সরকারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি (তারেককে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে)…। শুধু এটুকু বলতে পারি আজ হোক অথবা কাল শাস্তি (আদালত কর্তৃক) তাকে ভোগ করতেই হবে।’

রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এক সাংবাদিক তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের প্রচেষ্টা ও অগ্রগতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার নাম নিতেও আমার ঘৃণা হয়।’

তিনি বলেন, অবৈধভাবে উপার্জিত অনেক টাকা নিয়ে তারেক লন্ডনে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। ‘আমি যখনই যাই, সে সেখানে কোনো না কোনো সমস্যা করার চেষ্টা করে।’

তারেকের জন্য মায়াকান্নাকারী একদল মানুষের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তার কুকীর্তিগুলো তারা ভুলে গেছে।

‘আপনারা কি করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা ভুলে যান? যেভাবে হামলা করা হয়েছিল, আমার বেঁচ থাকার কথা নয়। তারা (বিএনপি) যখন ক্ষমতায় ছিল আমাদের আইভি রহমানসহ আরও অনেকে মারা গেছে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপি বারবার তার ওপর হামলার চেষ্টা ও হামলা করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। যারা এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে, যারা ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় জড়িত, আপনারা তাদের জন্য মায়াকান্না করছেন।’

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, তারেকের মতো দোষীদের জন্য মানুষ সহানুভূতি প্রকাশ করলে, সরকার কিভাবে অপরাধীদের শাস্তি দেবে?

প্রসঙ্গত, অর্থপাচার, দুর্নীতি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২১ আগ্রস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান পলাতক রয়েছেন বলে বাংলাদেশের আদালত ঘোষণা দিয়েছে।

২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক। এরপর থেকে পরিবারের সাথে সেখানেই থাকছেন তিনি।

এর বছর খানেক আগে তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...